মাত্র ১০৮ রানেই অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ

মাত্র ১০৮ রানে অল আউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ
মাত্র ১০৮ রানে অল আউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ

জিতলে সিরিজে ফেরার সুযোগ। হারলে সিরিজ হাতছাড়া। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচেও চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৩৫ ওভারে ১০৮ রানেই অলআউট হয় স্বাগতিকরা।

বুধবার গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই বাংলাদেশের স্পিনে নিভ্রান্ত হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। নাসুম আহমেদ, মেহেদি হাসান মিরাজ ও মোসাদ্দেক হোসেনের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা।

উইন্ডিজ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন পেসার তাসকিন আহমেদের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার কাইল মায়ার্স (১৭)।

এরপর ক্যারিবীয় শিবিরে একেরপর এক আঘাত হানেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। তার স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে মাত্র ৬ রানের ব্যবধানেই ৩ উইকেট হারায় উইন্ডিজ।
নাসুমের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন শামারা ব্রুকস (৫)। ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসে চতুর্থ বলে ক্যারিবীয় ওপেনার শাই হোপকে সাজঘরে ফেরান তিনি। তার বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ৪ রানে লাইফ পাওয়া শাই হোপ (১৮)।

এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক নিকোলাস পুরানকেও বোল্ড করে ফেরান নাসুম। তার বিদায়ে ১৭.৬ ওভারে মাত্র ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় উইন্ডিজ।
এরপর ক্যারিবীয় শিবিরে আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। তার বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রোভম্যান পাওয়েল। ব্রান্ডন কিংকে বোল্ড করে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। আকিল হোসেনকে রান আউট করেন মোস্তাফিজুর রহমান ও নুরুল হাসান সোহান।

নয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা রোমারিও সেফার্ডকে বোল্ড করে ফেরান অফ স্পিনার মিরাজ। আলজারি জোসেফকে রানের খাতা খুলতেই দেননি তিনি। উইন্ডিজ শিবিরে শেষ পেরেকটিও মারেন মিরাজ। গুদাকেশ আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে ১০৮ রানে অলআউট উইন্ডিজ।

বাংলাদেশ দলের হয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ নেন ৪ উইকেট। ৩ করে উইকেট শিকার করেন নাসুম আহমেদ। একটি করে উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসেন ও শরিফুল ইসলাম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৫ ওভারে ১০৮/১০ রান (কিমো পল ২৫*, শাই হোপ ১৮, কাইল মায়ার্স ১৭, রোভম্যান পাওয়েল ১৩, ব্রান্ডন কিং ১১; নাসুম ৩/১৯, মিরাজ ৪/২৯)।

Full Video