রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো ইউক্রেন। এক কোটির বেশি মানুষ হয়েছে বাস্তুচ্যুত। এই যুদ্ধের মধ্যেই ফিনল্যান্ড সীমান্তে রাশিয়া মোতায়েন করতে যাচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
যুক্তরাজ্যের পত্রিকা ডেইলি মেইল জানিয়েছে, রাশিয়ার দুটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফিনল্যান্ড সীমান্তের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইউক্রেনের পর ফিনল্যান্ডকে নিজ বলয়ে রাখার চেষ্টায় এ ব্যবস্থা নিয়েছে রাশিয়া।
ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে ফিনল্যান্ডকে হুঁশিয়ার দিয়েছিল রাশিয়া। এরপরই নিজ দেশের সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থাসহ অন্য সামরিক সরঞ্জাম স্থানান্তর করার কাজ শুরু করছে রাশিয়া।
সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ন্যাটো জোটে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো দাবি করেছে, শিগগির এ দুই দেশকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটো জোটে যোগদানের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ন্যাটো জোটের বিস্তারের মাধ্যমে ইউরোপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না।
ন্যাটোকে সংঘাতের ক্ষেত্র হিসেবে প্রস্তুত করার একটি হাতিয়ার হিসেবে আখ্যায়িত করে পেসকভ বলেন, এ জোটের সদস্য বাড়ানোর মাধ্যমে ইউরোপ মহাদেশে স্থিতিশীলতা আনা যাবে না।
গত সপ্তাহে ব্রাসেলসে জোটের শীর্ষ কূটনীতিকদের মধ্যে বৈঠকে চলতি বছরেই সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোতে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপরই রাশিয়া ফিনল্যান্ড সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ মোতায়েন করছে।