সবার ওপরে পরীমণি

বর্তমান সময়টা ভার্চ্যুয়াল। আড্ডা হোক কিংবা জরুরি কাজ। বাস্তবতার পাশপাশি এখন নিত্য নতুন বাস্তবতা হচ্ছে ভার্চ্যুয়াল জগত। এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তা আর বলার অপেক্ষা থাকে না। ঘরবন্দি সময়টাতে এর জনপ্রিয়তা কিংবা গুরুত্ব বোঝা যায়। ভার্চ্যুয়াল এই দুনিয়ায় একটি মাধ্যম হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

বাংলাদেশে এই মাধ্যমে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফেসবুক। আর তাইতো এই মাধ্যমকে কেন্দ্র করে সবাই আপডেট থাকতে চান। এই মাধ্যমে একজন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলিব্রিটি সবাই কম বেশি আছেন। পছন্দের তারকাদের বাস্তব জীবনে ভক্ত আছেন। তারা নিয়মিত আপডেট থাকতে চান।

ঠিক তেমনি ভার্চ্যুয়াল জগতে রয়েছে ফ্যান-ফলোয়ার। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সম্প্রতি এই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছেন বাংলাদেশি তারকারাও। তাদের মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। যদিও এই ফ্যান-ফলোয়ারে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে হুট করে এমন জনপ্রিয় হওয়া কিন্তু কম কথা নয়। কারণ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এই জনপ্রিয়তার প্রভাব পড়েছে। লেখা এই তালিকায় ফেসবুক পেজে ৫০ লক্ষের উপরে ফলোয়ার থাকা সেলিব্রেটিরা রয়েছেন। তার সঙ্গে বিশ্বের গণমাধ্যমে আসা তারকাদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তবে তারকাদের জনপ্রিয়তা মাপার এটা কোন মাপকাঠি নয়।

পরীমণি : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কোটির ওপরে ফলোয়ার হয়ে গেছে তার। নিউজটি লেখার আগ পর্যন্ত তার পেজটিতে ফলোয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৫১ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬ জন। আর এই জনপ্রিয়তা পাওয়ার একমাত্র কারণ হলো, তার সম্পর্কে জানা। অভিনয় থেকে শুরু করে গত বছর থেকেই পরীমণি ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। অভিনয় জীবনে নতুন সিনেমার শুটিং আর ব্যক্তি জীবনে গ্রেপ্তার, আদালত, জেল খাটা থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা, বিয়ের খবরে বেশ চাঙা রয়েছে বাংলাদেশের বিনোদন দুনিয়া।

হানিফ সংকেত : জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা উপস্থাপক ও পরিচালক তিনি। ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির জনপ্রিয়তা একটুও ভাটা পড়েনি। হানিফ সংকেত মানেই ইত্যাদি। মূলত টেলিভিশন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে ভাটা পড়লেও ইত্যাদি অনুষ্ঠানে এক বিন্দু পরিমাণ ভাটা পড়েনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ফলোয়ার রয়েছে ১ কোটির বেশি। ১৯৮৯ সালে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হিসাবে স্থান করে নিয়েছে। অনুষ্ঠানটি প্রায় ৩০ বছর ধরে প্রচারিত হচ্ছে। এর প্রধান আকর্ষণীয় দিক হলো সমাজের নানান অসংগতিকে বিদ্রুপ ও রসময় করে উপস্থাপন করা। তবে বর্তমানে এটি তিন মাস অন্তর অন্তর বাংলাদেশ টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।

দিলারা হানিফ পূর্ণিমা : সুহাসিনী খ্যাত চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। যদিও এখন খুব বেশি বড় পর্দা কিংবা ছোট পর্দায় তার দেখা মেলে না। তবে এর জন্য কিন্তু জনপ্রিয়তা কমেনি বাস্তবে কিংবা ভার্চ্যুয়ালে। ফেসবুকে তার ফলোয়ার সংখ্যা ৯৭ লাখেরও বেশি। নায়িকা হিসেবে তিনিই পরীর পরের স্থানে আছেন।

অপু বিশ্বাস : চিত্রনায়িকা হিসেবে তার অবস্থান তৃতীয়। মানে ফেসবুকে তার ফলোয়ার সংখ্য, ৮৭ লাখের ওপরে। কারণ ব্যক্তি জীবন ও অভিনয় জীবন দুটোই তার আলোচিত। এর ফলে তার অগনিত ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তার খোঁজ খবর রাখেন। যদিও এখন খুব বেশি একটা অভিনয়ে নিয়মিত নেই। তবে কম কাজও করছেন না। নানান পণ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে তিনি নিয়মিত। এ ছাড়া সিনেমায় তিনি আবারও নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

বিদ্যা সিনহা মিম : একটি রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে তার পথচলা শুরু। সেখান থেকে মডেলিং, তারপর অভিনয়ে নিয়মিত হয়েছেন। নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি অভিনয় করেছেন একাধিক সিনেমাতেও। সম্প্রতি আলোচনায় আসেন বিয়ে নিয়ে। বেশ ঘটা করেই তার বিয়ে আয়োজিত হয়েছে। তবে করোনা প্রভাবের জন্য বড় পরিসরে আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। ফেসবুকে তার ফলোয়ার সংখ্যা ৬৫ লক্ষের বেশি। ভক্তদের মাঝে এই জনপ্রিয়তা তিনি এখনও ধরে রেখেছেন।

জয়া আহসান : দুই বাংলায় যিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অভিনয় দিয়ে তিনি তো সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয় থাকবেনই। চারিত্রিক অভিনেত্রী হিসেবে তার অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ফেসবুকে তার ফ্যান-ফলোয়ার রয়েছে ৫৬ লাখেরও বেশি। বর্তমানে তিনি ভারতীয় মাধ্যমেও বেশ জনপ্রিয়।

এ ছাড়াও দিনকে দিন সাজামিক যোগাযোগমাধ্যমে তারকাদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। যদিও অনেক সময় সামাজিক মাধ্যমে বেশ খারাপ প্রভাব পড়ে। তবে এর যথাযথ ব্যবহার করাটাই হচ্ছে আসল দিক।

Full Video