স্কুলে ফেরেনি ১০ হাজার শিক্ষার্থী

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের হাবিব কাদের উচ্চবিদ্যালয়ে দেড় হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করত। করোনাকালে দেড় বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকে বিদ্যালয়। দীর্ঘ সময় শেষে মাত্র ৬৯০ জন স্কুলে ফিরেছে। বাকি ছাত্রছাত্রী অনুপস্থিত। পরে শিক্ষকেরা জানতে পেরেছেন, অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৬০ ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে। ৩০ জন ছাত্র দারিদ্র্যের কারণে বিভিন্ন জায়গায় কাজ নিয়েছে। আর বাকিদের বিষয়টি তাঁরা জানতে পারেননি।

করোনার পর টাঙ্গাইল জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের ৭৩৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ হাজার ৪৩৬ জন শিক্ষার্থী ক্লাসে ফেরেনি। জেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৫ মার্চ জেলায় মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৬৫৭। স্কুল খোলার পর ক্লাসে ফিরেছে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ২২১ জন শিক্ষার্থী।

একাধিক উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, করোনার সময় অনেক পরিবার আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। অনেক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ হয়েছে। অনেক ছাত্র কাজে ঢুকে গেছে। ঘাটাইলের পাকুটিয়া মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল প্রকাশ চক্রবর্তী। তার বাবা প্রভাস চক্রবর্তী বাবুর্চির কাজ করতেন। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেমন বন্ধ ছিল, তেমন বন্ধ ছিল প্রকাশের বাবার কাজ। অসচ্ছল সংসারে খরচ জোগাতে প্রকাশ দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ শুরু করে। ফলে দীর্ঘদিন পর স্কুল খুললেও তার আর স্কুলে ফেরা হয়নি।

বাসাইল উপজেলার বাথুলী সাদী লাইলী বেগম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সালাম খান বলেন, ‘শুধু আমাদের স্কুলে ৮৮ জন ছাত্রছাত্রী অনুপস্থিত। তাদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনতে বাড়ি বাড়ি যোগাযোগ করা হচ্ছে।’ ওই স্কুলের হাবিবা ঊর্মি নামের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়, তার অনেক সহপাঠীর বিয়ে হয়ে গেছে।

Full Video