স্কুইড গেম জ্বরে কাঁপছে বিশ্ব

স্কুইড গেম জ্বরে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া কোরীয় এই ওয়েব সিরিজটি ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে উন্মাদনা। আর সেই উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন দেশে।
স্কুইড গেম জ্বরে কাঁপছে বিশ্ব

অনেকেই আবার এর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে খুলে বসেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, নিত্য নতুন অফার আর নানা আয়োজনে রেস্তোরাঁগুলোতে ভোক্তা টানার প্রতিযোগিতায় ব্যবসায়ীরা। এরইমধ্যে নেটফ্লিক্সের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজের খেতাবও অর্জন করেছে স্কুইড গেম।

একটি গেম, যা কেবলমাত্র একটি গেম নয়, বাঁচতে হলে প্রতিটি গেমে উত্তীর্ণ হতে হবে প্রতিযোগীকে, নয়তো নিশ্চিত মৃত্যু। শৈশবের মজার মজার খেলাগুলোকে ভিন্ন রূপ দিয়ে তৈরি এই ডেথ গেমকে মূল থিম ধরেই এগিয়েছে কোরীয় ওয়েব সিরিজ স্কুইড গেমের কাহিনী। যা এরইমধ্যে সাড়া ফেলেছে গোটা দুনিয়ায়। এমনকি নেটফ্লিক্স ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজের তকমাও লেগেছে স্কুইড গেমের গায়ে।

ওয়েব সিরিজটির ধারাবাহিক সাফল্যে এটি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে ক্রমেই বাড়ছে উন্মাদনা। এই উন্মাদনাকে কাজে লাগিয়ে নিত্য নতুন অফার আর আয়োজনের পসরা সাজিয়ে বসেছে বিভিন্ন দেশের নামি-দামি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। বাদ যাচ্ছেনা রেস্তোরাঁগুলোও।

ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় একটি শপিং হলের বাইরে এভাবেই স্থাপন করা হয়েছে স্কুইড গেমের প্রথম পর্ব ‘রেড লাইট গ্রিন লাইটে’ দেখানো একটি পুতুল চরিত্রের আদলে তৈরি ১০ ফুট লম্বা একটি পুতুল। মলে ঢুকতেই যা দেখে চমকে উঠছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন: এবার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল দক্ষিণ কোরিয়া

অন্যদিকে সিঙ্গাপুরও কাঁপছে স্কুইড গেম জ্বরে। দেশটির বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় চলছে গেমটির আদলে ক্যান্ডি চ্যালেঞ্জ। আকৃতি ঠিক রেছে ক্যান্ডি ভাংতে পারলেই মিলবে পুরস্কার, তবে ব্যর্থ হলে সিরিজটিতে মৃত্যু নিশ্চিত হলেও এখানে মরতে হচ্ছে না কাউকেই, পরিবর্তে মিলবে না কোন পুরস্কার।

ক্যান্ডি চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণকারী একজন বলেন, আমার মনে হয়, আমি এটি ঠিকমতোই করতে পেরেছি। গেমের মধ্যে সবাই যতটা সিরিয়াস আমিও ঠিক ততটাই সিরিয়াস ছিলাম।

আরেকজন বলেন, গেমটি যখন দেখেছি অনেক কিছুই খেয়াল করিনি। এখানে অনেক বিষয় লুকানো ছিল, যেগুলো পরে জানতে পেরে আবার দেখে মিলিয়ে নিয়েছি।

পিছিয়ে নেই ওয়েব সিরিজটি তৈরি হয়েছে যেখানে সেই দক্ষিণ কোরিয়াও। এই একটি ওয়েব সিরিজ দিয়ে যেন পুরো বিশ্বে নিজেদেরকে আরেকবার নতুন করে চিনিয়েছে কোরীয়বাসী। দেশটির রাজধানী সিউলের বিভিন্ন শপিং মল আর রেস্তোরাঁয় চলছে স্কুইড গেম উন্মাদনা, পাশাপাশি ডালগোনা ক্যান্ডি চ্যালেঞ্জ। রয়েছে থিমভিত্তিক নানা আয়োজনও।

দক্ষিণ কোরিয়ার এক বাসিন্দা বলেন, আগে এখানে প্রতিদিন গড়ে একশ মানুষ খেতে আসতো, এখন ২০০-৩০০ মানুষ আসছে, কেবলমাত্র ক্যান্ডি চ্যালেঞ্জে অংশ নিতে।

আরেক অংশগ্রহণকারী বলেন, এটা ভেবে খুবই ভাল লাগছে, এই একটি ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে মানুষ ডালগোনা সম্পর্কে জানতে পারছে, আর স্বাদ নিচ্ছে।

গেল ১৭ সেপ্টেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায় স্কুইড গেম। এরপর দশদিনেই ৯০টি দেশে এক নম্বরে স্থানে উঠে আসে সিরিজটি। এটির ধারাবাহিক সাফল্যে তাই দক্ষিণ কোরিয়ায় অরিজিনাল কন্টেন্ট তৈরিতে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নেটফ্লিক্স কর্তৃপক্ষ।

Full Video