আজ খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

আজ রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে। তাই শ্রেণি কক্ষে আবারো শিক্ষক এবং সহপাঠিদের সঙ্গে দেখা হবে। আর সেই অপেক্ষায় রয়েছে লাকসামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চত্বর এবং শ্রেণি কক্ষগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন প্রায় সম্পন্ন করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়ার বাকি। ইতিমধ্যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্যানিটাইজড করে প্রস্তুত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জানানো হয়েছে, কভিড-বিধি নিষেধও মেনে মাস্ক পরে স্কুলে আসা বাধ্যতামূলক।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সঙ্গে শিক্ষকরাও হাত মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছেন।

লাকসাম উপজেলায় প্রাথমিক, কিন্ডার গার্ডেন, এবতেদায়ী, মাধ্যমিক, মাদরাসা এবং কলেজ মিলিয়ে দুই শ’র বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে দেড় শ’র মতো রয়েছে প্রাথমিক (কিন্ডার গার্ডেন, এবতেদায়ী ও নূরানী মাদরাসাসহ) বিদ্যালয়। করোনার দীর্ঘ দেড় বছর জুড়ে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শ্রেণি কক্ষগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের ভিন্নতা দেখা গেছে। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠান চত্বর পরিষ্কার, শ্রেণি কক্ষগুলোতে নতুন করে রং লাগিয়ে ঝকঝকে করে তোলেন।

এদিকে গত ৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পর প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা ব্যস্ত হয়ে উঠেন। অনেকেই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় অংশ নেন। তাদের সঙ্গে সহকারী শিক্ষকদেরও কাজ করতে দেখা গেছে।

লাকসামের প্রাচীনতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নবাব ফয়জুন্নেছা ও বদরুন্নেছা যুক্ত উচ্চ বিদ্যালয়েয় প্রধান শিক্ষক মো. কামাল হোসেন জানান, করোনার কারণে গত দেড় বছরে তার প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শ্রেণি কক্ষ এবং বিদ্যালয় চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়েছে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত তদারকি থাকায় এসবের প্রতি যত্ন নেওয়া সম্ভব হয়েছে। ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পদচারণা না থাকলেও পরিবেশটা সেই আগের মতোই রেখেছি।

প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রবেশদ্বারে হাত ধোয়ার পানি সাবান ও স্যানেটাইজার রাখা, শরীরের তাপমাত্রার যন্ত্র রাখা, প্রতিটি টেবিলে একজন বেশি হলে দু’পাশে দুজন বসানো হবে। ইতিমধ্যে সরকারের ১৯ দফা নির্দেশনা মোতাবেক সকল ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

লাকসাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রসাদ কুমার ভাওয়াল জানান, সরকারি নির্দেশনার পর থেকেই উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা এবং কলেজগুলোর প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা সভা করা হয়েছে। সরকারের ১৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কঠোর মনিটরিং করে শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেন জানান, করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সরাসরি পাঠদান না হলেও প্রধান শিক্ষক এবং অন্যদের উপস্থিতি ছিল। তারপরও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয় কোথাও কোনো ঘাটতি রাখা হয়নি। সুতরাং সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ রবিবার শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

Full Video