আফগানিস্তানে আবারো নিষিদ্ধ হলো মেয়েদের খেলাধুলা

যেমনটা ভাবা হয়েছিলো, ঠিক তেমনই ঘটলো। আবারো মেয়েদের খেলাধুলা নিষিদ্ধ হতে চলেছে আফগানিস্তান। কোন ধরনের খেলাধুলা বা ক্রীড়ায় অংশ নিতে পারবেন না মেয়েরা।১৯৯৬ সালে তালেবান যখন প্রথমবার আফগানিস্তানের ক্ষমতায় এসেছিলো, তখন নারীদের খেলাধুলা নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে একই কাজ করলো চরমপন্থী সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সরকার গঠনের পর তালেবানের সুপ্রীম লিডার হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা ঘোষণা দেন, আফগানিস্তানের শাসন চলবে শরিয়া আইন মেনে।তার এই ঘোষণার পরপরই নতুন আফগান শিক্ষামন্ত্রীর এক বক্তব্যে এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। তিনি বলেছেন, আজকের এই দুনিয়ায় পিএচডি-মাস্টার্স ডিগ্রির কোন মৃল্য নেই।

এমন মন্তব্যের ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই তালেবানের সাংস্কৃতিক কমিশনের উপ প্রধান আহমাদুল্লাহ ওয়াসিক জানিয়ে দিলেন, কোন খেলায় অংশ নিতে পারবেন না নারীরা।এক ঘোষণায় তিনি জানান, নারীদের খেলাধুলার কোনও প্রয়োজন নেই। ক্রিকেটসহ অন্য যে কোনও খেলাধুলায় নারীরা অংশ নিতে পারবেন না, কারণ এসবে শরীর প্রদর্শন হয়।

আহমাদুল্লাহ ওয়াসিক বলেন, ‘নারী খেলাধুলার দরকার নেই। এতে শরীর দেখা যায়। যা আইন বিরুদ্ধ। তাই এতোদিন ধরে আফগান নারীরা ক্রিকেটসহ অন্যান্য যে ক্রীড়াগুলোতে অংশ নিতেন, সেগুলোতে আর অংশ নিতে পারবেন না’।তার এই ঘোষণায় আফগান নারীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করলেও, তাদের কাছে মোটাতেও অভাবিত ছিলো না। বরং এমন ধরনের ঘোষণার অপেক্ষাতেই ছিলেন তারা।

এর আগে, নারীদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও নয়া নির্দেশিকা জারি করে তালেবান। তাতে বলা হয়, নারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারলেও ছাত্রদের সঙ্গে একই কক্ষে বসা যাবে না। স্বামী বা রক্তের সম্পর্ক রয়েছে, এমন পুরুষ সঙ্গীর তত্ত্বাবধানেই নারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবে।আরো বলা হয়েছে, যদি আলাদা ক্লাস রুমের ব্যবস্থা না করা যায়, তবে ১৫ জনের বেশি পড়ুয়া থাকলেও মাঝখানে পর্দা টাঙিয়ে দিতে হবে।

নারী শিক্ষার্থীদের ক্লাসও পাঁচ মিনিট আগে শেষ করতে হবে। যাতে বের হবার সময় পুরুষদের সঙ্গে দেখা না হয়। নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য আবায়া ও নিকাব পরতে হবে।শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও বলা হয় একমাত্র নারী শিক্ষিকারাই ছাত্রীদের পড়াতে পারবেন। একান্তই যদি শিক্ষিক না পাওয়া যায়, তবে ভাল চরিত্রের কোনও বয়স্ক শিক্ষককে নিয়োগ করা হবে।

Full Video