কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি, পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ

কুড়িগ্রামে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিনশ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ধরলা নদীর পানি অস্বাভাবিক গতিতে বেড়ে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ধরলা অববাহিকার ৪টি উপজেলার ৩৫টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা কমলেও এখনও বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দুর্গত এলাকায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গবাদীপশুর খাদ্য সংকট প্রকট হয়ে উঠছে।

রাজারহাট উপজেলার নামা জয়কুমর গ্রামের বাসিন্দা এনছাফুল হক জানান, নতুন করে ধরলার পানি বাড়ায় অনেক ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। যেটুকু ফসল বাঁচার আশা ছিল তাও শেষ হয়ে গেছে।

সদর উপজেলার সারডোব গ্রামের বাসিন্দা আশরাফ আলী জানান, পানি বাড়ার কারণে পুনর্নির্মাণ করা বাঁধটি পুনরায় ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ব্রহ্মপুত্রের চর পোড়ার চরের সাবেক মেম্বার আসাদ আলী জানান, এই চরের আবাসন প্রকল্পের ৪৪টি পরিবার বাস করলেও আবাসনটি ভেঙে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবারগুলো। তিনি জানান, এখনও এই চরে কোন ত্রাণ সহায়তা পায়নি কেউ। ত্রাণের আশায় অপেক্ষা করছে হাজারো বন্যার্ত মানুষ।

উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, প্রথম দফায় ৬০০ মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হলেও আরো প্রায় ২ হাজার পরিবারকে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ সহায়তা দেয়া দরকার।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম জানিয়েছেন, জানিয়েছেন বন্যার্তদের জন্য ২৮০ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যা বিতরণ করা হচ্ছে।

Full Video