বিস্ফোরণে কাঁপল কাবুল

বিস্ফোরণে কাঁপল কাবুল। রোববার রাতে হঠাৎ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। শহরের দেমজাং এলাকার একটি কোডাউনে আগুন ধরে গেলে আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা গেলেও তা নিয়ন্ত্রণে কেউ এগিয়ে আসেনি। এটি কিসের গোডাউন, সে সম্পর্কেও কিছু জানা যায়নি।
বিস্ফোরণে কাঁপল কাবুল

তালেবানের কাবুলের ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো স্বাভাবিক হয়নি কাবুল বিমানবন্দরের পরিস্থিতি। দেশ ত্যাগের অপেক্ষায় বাইরে ভিড় করছেন লাখো মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঝে মাঝেই গুলি ছুড়ছে মার্কিন সেনারা। শনিবার গুলিতে বেশ কয়েকজন মারা যাওয়ার কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় নিরাপত্তার কারণে কাবুল বিমানবন্দরে মার্কিন নাগরিকদের সাময়িক ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে আফগানিস্তানে নতুর সরকার কেমন হবে, তা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জানা যাবে বলে জানিয়েছে তালেবান। সশস্ত্র সংগঠনটির এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নতুন সরকারের রূপরেখা প্রকাশ করা হবে। এরই মধ্যে কাবুলে পৌঁছেছেন তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা আব্দুল ঘানি বারাদার। সরকার গঠন নিয়ে তালেবানের কমান্ডার ও সাবেক সরকারের নেতা ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

কাবুল বিমানবন্দরের অবস্থা বেগতিক হলেও অন্যান্য স্থানে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছেন আফগানবাসী। যদিও মোড়ে মোড়ে অব্যাহত রয়েছে তালেবানের টহল।

রাস্তার মোড়ে বিক্রি হচ্ছে ফল, কোথাও আইসক্রিম। বেড়েছে মানুষের উপস্থিতি, দেখা মিলছে চিরচেনা ভিড়। ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে দেড়শ’ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বের গজনি প্রদেশের বাসিন্দারা, তালেবানের পুনরুত্থানের এক সপ্তাহ পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন।
ভিডিও

একজন বলেন, এখন যেহেতু তালেবান ক্ষমতা নিয়েই নিয়েছে, দোয়া করছি ভালো কিছু হোক, তারা প্রতিশ্রুতি পূরণ করুক। আমাদের ব্যবসা ভালো ছিল না একদিন। তবে এখন ধীরে ধীরে মানুষ কেনাকাটা করছেন।

এরই মধ্যে জাবুল প্রদেশের কোয়ালাত শহরে তালেবান সদস্যরা নতুন পোশাকে মহড়া দেন। নিজেদের সুসজ্জিত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার অংশ হিসেবেই এমনটি করা হয়েছে বলে জানান তারা। তালেবান সরকার গঠনে সময় নেবে আরও। নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করতেই এটি করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

এ অবস্থায় মার্কিন কূটনীতিকদের এক তথ্য সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারিত হচ্ছে। সেটি হলো, তালেবানের কাছে দ্রুতই কাবুলের নিয়ন্ত্রণ চলে যেতে পারে, এই বার্তা আগেই গিয়েছিল ওয়াশিংটনে। জুলাই মাসেই আফগানিস্তানে দায়িত্বরত বেশ কয়েকজন মার্কিন কূটনীতিক দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে সতর্ক করে অভ্যন্তরীণ বার্তা পাঠান। তারই ভিত্তিতে তড়িঘড়ি দেশটি ছেড়ে চলে যান মার্কিন সেনারা। এমনকি বাগরাম ঘাঁটি ছাড়ার সময় কাউকে কিছুই জানানো হয়নি।

তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল ঘানি বরাদর কাবুলে পৌঁছেছেন। কাবুলে অবস্থানরত অন্যান্য তালেবান নেতা ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে মিলিত হয়ে তিনি নতুন সরকার গঠনের রূপরেখা তৈরি করবেন।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে এক শীর্ষস্থানীয় সূত্র জানায়, তিনি কাবুলে নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন এবং সেখানে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করবেন।

Full Video