কানাডার ফ্যাশন ম্যাগাজিনে ছাপা হচ্ছে বগুড়ার তরুণীর সেই ছবি

বগুড়ার কলেজছাত্রী জে মুমুর মুঠোফোনে তোলা ‘শতবর্ষী আনন্দ’ শিরোনামের ছবিটি এবার কানাডার ফ্যাশন ম্যাগাজিন ইসাবেলায় ছাপার জন্য নির্বাচিত হয়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি সংখ্যায় ইসাবেলার স্পেশাল ফিচার বিভাগে আলোকচিত্রটি ছাপানোর ঘোষণা দিয়েছে ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস উপলক্ষে ফ্যাশন ম্যাগাজিন ইসাবেলা তরুণ আলোকচিত্রীদের উৎসাহিত করতে স্পেশাল ফিচার বিভাগে ছাপার জন্য আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বাংলাদেশি তরুণী জে মুমু ছাড়াও বিশ্বের ১৫৩ জন আলোকচিত্রী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। সেখান থেকে জে মুমুর আলোকচিত্রটিসহ সেরা ১০টি আলোকচিত্র নির্বাচিত হয়।

জে মুমু এ বছর বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্ততি নিচ্ছেন। তাঁর বাবা একজন ব্যবসায়ী। মা শিক্ষক। তিন ভাইবোনের মধ্যে মুমু দ্বিতীয়। গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় ঈদের ছুটি কাটাতে দাদাবাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ি যান তিনি। সেখানে মুঠোফোনে ওই ছবি তোলেন তিনি। ছবিতে দেখা যায়, কৃষ্ণচূড়ার একগুচ্ছ পাতায় ঢাকা পড়েছে এক চোখ। অন্য নীল চোখে হাসছেন শতবর্ষী এক নারী।

জে মুমু প্রথম আলোকে বলেন, ইসাবেলার বিচারক প্যানেল ইতিমধ্যে ই–মেইল করে শতবর্ষী আনন্দ ছবিটি সেরা ১০–এ জায়গা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিশ্বের ১৫৩ জন তরুণ আলোকচিত্রীর তোলা ছবির মধ্যে মুঠোফোনে তোলা তাঁর ছবিটি সেরা নির্বাচিত হওয়ায় প্রচণ্ড উচ্ছ্বসিত তিনি বলেন, ‘ইসাবেলা ম্যাগাজিনে বিশ্বের অনেক নামীদামি আলোকচিত্রীর ছবির সঙ্গে আমার ছবিটিও ছাপা হবে। এটা আমার জন্য অনেক গর্ব ও আনন্দের। শখের বসে তোলা ছবিটি বাংলাদেশের জন্য এত বড় সম্মান বয়ে আনবে, তা আগে ভাবিনি।’

এর আগে ছবিটি গত জানুয়ারিতে জাপানে অনুষ্ঠিত থার্ড মেহুডো ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ ভিজ্যুয়াল মিডিয়া ফেস্টিভ্যালে বেস্ট ফটোগ্রাফি বিভাগে সিলভার অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার লাভ করে। ৭০টি দেশের ৭১১ প্রতিযোগীর মধ্যে মুমুর ছবিটি সেরা নির্বাচিত হয়। এ ছাড়া ছবিটি রোমানিয়ার স্যাপিক্সেল ইন্টারন্যাশনাল ফটো কনটেস্ট এবং যুক্তরাজ্যের হান্টিংটন বিচ কালচারাল সিনেমা শোকেসের ফটোগ্রাফি বিভাগে প্রতিযোগিতার জন্যও চূড়ান্ত মনোনয়ন পায়।

Full Video