যত দিন ফিটনেস-পারফরম্যান্স আছে, খেলে যাব : সাকিব

গত মার্চে বয়সের কাঁটা ছুঁয়েছে ৩৪-র ঘর। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন চলে আসে, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে আর কত দিন পাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল? গড়পড়তা ৩৬-৩৭ বছর পর্যন্ত খেলে থাকেন ক্রিকেটাররা। তবে ভক্ত-সমর্থকদের আশা, ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপেও খেলবেন সাকিব।

কিন্তু তত দিনে সাকিবের বয়স হয়ে যাবে ৪০ বছর। তখন কি আদৌ তার পক্ষে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলা সম্ভব হবে? এ বিষয়ে সাকিবের নিজের ভাবনাই বা কী? জাতীয় দলে আর কতদিন খেলে যাওয়ার আশা রাখেন সাকিব? দেশের শীর্ষস্থানীয় এক দৈনিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি।

তবে সরাসরি সময় বেঁধে দিয়ে কিছু বলেননি টাইগার দলের প্রাণভোমরা। তিনি বরং নিজের ফিটনেস ও পারফরম্যান্সের দিকে নজর দিতেই বেশি আগ্রহী। অর্থাৎ ফিটনেস ও পারফরম্যান্স যত দিন থাকবে, তত দিন যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে সাকিবের।

তিনি বলেছেন, ‘আসলে সময় নিয়ে বলা কঠিন। এ বছর পর্যন্ত সব পরিকল্পনা ঠিক আছে। সামনের বছরের শুরুতে হয়তো ঐ বছরের পরিকল্পনা করব। আসলে ৫ বছর, ১০ বছর নিয়ে চিন্তা করি না। তবে যত দিন ফিট আছি এবং পারফরম্যান্স আছে, তত দিন খেলে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। সেটা দেখি কত দিন সম্ভব হয়।’

বর্তমানে বায়ো বাবলের কারণে খেলোয়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর চাপ পড়ছে অনেক বেশি। এমতাবস্থায় বড় বড় ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলো নিজেদের তারকা ক্রিকেটারদের বিশ্রাম বিশ্রাম দিয়ে খেলাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় এটা প্রায় সময়ই অসম্ভবের কাতারে পড়ে।

এমতাবস্থায় ওয়ার্কলোড ম্যানেজের ব্যাপারে সাকিবের ভাবনা, ‘এগুলো সব সময় আলোচনার মাধ্যমেই করা যাবে। এ বছর খুব বেশি খেলা আর নেই। নিষেধাজ্ঞার কারণে আমি অনেক খেলা মিস করেছি। চেষ্টা থাকবে এ বছরটা খুব ভালোভাবে শেষ করার। পরে চিন্তা করে, সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে যেটা ভালো হয়, সেটা করা যাবে।’

এখনও ঘোষিত হয়নি বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি। তবে কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণার জন্য সম্ভাব্য খেলোয়াড়দের কাছ থেকে তাদের পছন্দের ফরম্যাটের তালিকা নিয়ে রেখেছে বিসিবি। সেখানে তিন ফরম্যাটেই টিক দিয়েছেন সাকিব। অর্থাৎ বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় তিন ফরম্যাটেই খেলবে সাকিব।

Full Video