গরমে-আর্দ্রতায় কাহিল হয়ে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া

বাংলাদেশের ইনিংসের তখন ১৯তম ওভার। অ্যান্ডু টাই তার স্পেল শেষ করার আগেই ভেঙ্গে পড়েন। অস্বস্তিতে মাঠেই বমিও করে ফেলেন। সামলে নিয়ে কোনমতে বোলিং শেষ করে বেরিয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন তিনি। এরকম পরিবেশে অভ্যস্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্যও কন্ডিশন ছিল অস্বস্তির।

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের দিন মঙ্গলবার এমনিতে তাপমাত্রা ছিল ৩২, কিন্তু সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাতাসে আর্দ্রতা ছিল প্রায় ৯০ শতাংস। প্রচুর পরিমাণ ঘাম ঝরেছে তাই সবার।বাংলাদেশের ইনিংসের মাঝপথে অনির্ধারিত পানি পানের বিরতি নিতে হয় দুবার। এই ধরণের পরিস্থিতিতে খেলতে অনভ্যস্ত অজিদের জন্য কাজটা ছিল কঠিন।

খেলার জন্য বিরূপ পরিবেশের মাঝে অবশ্য হাসি চওড়া হয়েছে বাংলাদেশেরই। আগে ব্যাট করে মন্থর ও টার্নিং উইকেটে বাংলাদেশ করে ১৩১ রান। স্পিনারদের স্বর্গে সাকিব আল হাসান, নাসুম আহমেদদের সামনে ওই রানের কাছেও যেতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের শেষ বলে তারা গুটিয়ে যায় ১০৮ রানে।টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়াকে ২৩ রানে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।

ম্যাচ শেষে দুই দলের দুই ক্রিকেটারও আলাদাভাবে বললেন আর্দ্রতার কথা। ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হওয়া নাসুম বলেন, প্রচুর ঘাম ঝরতে থাকায় সব সামলে কাজটা সহজ ছিল না তাদের। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ করা মিচেল মার্শ জানান, আর্দ্রতার কারণে বাড়তি একটা চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয়েছে তাদেরও।

বুধবার একইসময়ে হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে একই দিনের পুনরাবৃত্তির আভাস আছে।

Full Video