পর্দা কাঁপানো একা’র ঠিকানা এখন কাশিমপুর

নামের পাশে সুপারহিট সিনেমা আছে একাধিক। মান্না থেকে শাকিব খান যুগের প্রথম সারিতে থাকা সব অভিনেতার বিপরীতে কাজের অভিজ্ঞতা আছে অভিনেত্রী সিমন হাসান একা’র। সম্প্রতি গৃহকর্মী নি’র্যাতনের মা’মলায় গ্রে’ফতার হয়েছেন তিনি। আজ রোববার বিকেলে ঢাকার মুখ্য মহানগর আ’দালতের (সিএমএম) হাকিম মোহাম্ম’দ জসিম পৃথক দুই মা’মলায় রি’মান্ড ও জা’মিন আবেদন নাকচ করে একাকে কা’রাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আ’দালত সূত্রে জানা গেছে এখন তার ঠিকানা কাশিমপুর কা’রাগারের নারী ওয়ার্ড।

অন্যায় করলে শা’স্তি পেতে হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তিনি আসলেই অন্যায় করেছেন কিনা সেটা প্রমানের আগে তাকে গ্রে’ফতারের পর দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বিএফডিসি কেন্দ্রীক কোনো সংগঠন এ ব্যপারে কোনো বিবৃতি দেয়নি। পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি কেউ এ ব্যপারে কোনো কথাও বলেননি। বি’ষয়টি নিয়ে শিল্পী সমিতিতে যোগাযোগ করা হলে কেউেই মন্তব্য করতে রাজি হয়ননি।

এর আগে মা’মলার ত’দন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফয়সাল আ’দালতে হাজির করেন অভিনেত্রী একাকে। তাকে জি’জ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিন করে দুই মা’মলায় ছয় দিনের রি’মান্ড আবেদন জানায় পুলিশ।

আ’সামির পক্ষে রি’মান্ড বাতিল ও জা’মিনের আবেদন জানিয়ে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, ‘এখানে বঁটির কথা বলা হয়েছে, কিন্তু আ’সামির বাসায় কোনো বঁটি নাই। তিনি চাকু দিয়ে কা’টাকাটি করেন।

‘তিনি অ’সুস্থ, তিন মাস আগে তার একটি অপারেশন হয়েছে। আ’সামি শয্যাশায়ী, সেখান থেকেই তাকে নিয়ে আসা হয়েছে। তার মেডিক্যাল সার্টিফিকেট আছে।’
আইনজীবী আরো বলেন, ‘মা’দক মা’মলাটি একটি মেকিং মা’মলা, এটা সুস্পষ্ট। কারণ ওই রুমের চাবি কাজের মেয়ে হাজেরার কাছে থাকে।’

রাষ্ট্রপক্ষে জা’মিনের বি’রোধিতা করে শুনানি করেন মহানগর আ’দালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল। তিনি বলেন, ‘মা’মলার আ’সামি সিমন হাসান একা বাদিনীকে দুই মাসের বকেয়া বেতন বাবদ ছয় হাজার টাকা না দিয়ে বঁটি দিয়ে মাথায় কোপ মে’রেছেন। এ ছাড়া তার বাসা থেকে মা’দক উ’দ্ধার হয়েছে। তিনি মা’দক ব্যবসার সাথে জ’ড়িত।’

উভ’য় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আ’সামি একাকে কা’রাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গৃহকর্মীকে নি’র্যাতনের অ’ভিযোগে গত ৩১ জুলাই অভিনেত্রী সিমন হাসান একাকে আ’টক করে পুলিশ। ৪২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর বাসা থেকে উ’দ্ধার হয়েছে ইয়াবা এবং ম’দ।

তোজাম্মেল হক বকুল পরিচালিত ‘রঙিন রাখাল রাজা’ সিনেমার মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমায় অভিষেক ঘটে একার। ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ধর’ ও ‘তেজি’ সিনেমায় অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান। ছবি দুটিতে মান্না ছিলেন তার নায়ক। পরে রুবেল, আমিন খান, আলেকজান্ডার বো, অমিত হাসান ও শাকিব খানের সঙ্গে জুটি হয়ে অনেক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি।

সবশেষ ২০০৮ সালে একাকে ‘বাহাদুর স’ন্তান’ সিনেমায় দেখা গেছে। দীর্ঘদিন ছিলেন দেশের বাইরে। তিনি ৩০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

Full Video