২২ পে’রিয়ে গেছে তবুও বিয়ে না দে’ওয়ায় মায়ে’র সাথে তুমুল ঝগরা

মা,আমি বিয়ে ক’রতে চাই। বয়স তো ২২ পেরিয়ে গেছে। আর কত?-আমার মুখের এই কথাটা শুনে মা’য়ের আগে অনেকেই বেশি রাগান্বিত হলো,আর বললো-নিজ মুখে বি’য়ের কথা বলতে লজ্জা করেনা।

লেখাপড়া করা অব’স্হায় ষাঁড়ের মতো বসে আছিস। আগে কিছু একটা কর। বিয়ে করে বউকে খা’ওয়াবি কী?এসব কথা শুনেও মা কিছু বলেনি। মা তখন শুধু বো’কার মতো আমার মুখের দিক চে’য়েছিলো,তার চোখের ইশারাতে বুঝেছিলাম মা-ও চায় বিয়েটা না করি। আমি বল’লাম, মা বিয়ের সম্পর্ক যুবক বয়সের সাথে আর ক্যারি’য়ার গড়ার জন্য পড়ে রয়েছে আজীবন।

আমার যেসব বন্ধুরা ছাত্র’জীবনে প্রেম করে বিয়ে করেছে তাদের বউ তো না খে’য়ে মারা যায়নি। তাহলে আমার বে’লায় এতো আপত্তি কেন?এমন সময় বাবা এসে কষে একটা থা’প্পড় লাগিয়ে দিলো। আমার আর বলার মতো কোন ভাষা রইলো না।আমি যতদূর জানি বাবা চাকরির আগে বিয়ে করে’ছিলেন ১৫ বছর বয়সে।

দাদা দাদি মূর্খ ছি’লো তাই হয়তো বাবা বিয়েটা করতে পেরেছিলেন। কিন্তু আমার বাবা মা মূর্খ নয় তাই যৌ; ‘ব’নকালে বউ পাওয়ার আশা ত্যাগ করাই ভালো। কারণ যৌ; ‘বন কন্ট্রোল করা যে কতটা কষ্টের তা বাবার আজ মনে নেই। তারা শুধু চাই ছে’লের কাঁড়ি কাঁড়ি ইনকাম। রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গেলে দেখা যায় বা’ন্ধবীরা দুই ছেলের মা।

আমাকে দেখে টি’টকারি মেরে বলে ‘কিরে, আর কতকাল দেবদাস হয়ে থা’কবি? বয়স তো ফুরিয়ে গেলো।মরিয়ম, আমার প্রতিবেশীর মেয়ে। একদিন সাহস করে তার বাবাকে প্রস্তাব দিয়ে বসলাম। আমার কথা শুনে খালু রাগে অগ্নি’শর্মা হয়ে বললেন ‘মেয়ের বাবা কি গাঞ্জা খায় যে বেকার ছেলের সাথে বিয়ে দিবে?

ল’জ্জায় অপমানে সেখান থেকে ফিরে আসলাম। বাড়িতে এসে দেখি রায়হানের বাড়িতে অনেক লোকের সমাগম। পরে শু’নলাম রায়হান বিয়ে করেছে। পারিবারিক ভাবেই বিয়ে হয়েছে। রায়হান আ’মার চেয়ে সাত বছরের ছোট। তবুও পিতামা’তা তার বিয়ে দিয়েছে। কারণ রায়’হান ভ্যান চালকের ছেলে, তথাকথিত শিক্ষিত প’রিবারের সন্তান নয়।

তাই তার বো’উ না খেয়ে মরে যাবে না। না খেয়ে মরে শুধু পিতামাতার অনুগত ধনী লোকের বে’কার ছেলেদের বোউ। ভা’বছি, এতো শিক্ষিত ধনী পরিবারে জন্ম না নিয়ে যদি কোন দিনমজুরের ঘরে জন্ম নিতাম তাহলে যৌ; বন কালে বোউ পেতাম। আর বিয়ের পর বোউকে খাওয়ানো নিয়েও চিন্তা থাকতো না।

কাউকে বলার আর কিছু রইলো না, বাবা মা নি’জেই যখন তার সন্তানের অভিব্যক্তি বুঝলো না,তখন তার কাউকে বো’ঝানোর কিছুই থাকে না, দাঁ’তে দাঁত চেপে শুধু চোখের পানি ফেলছিলাম,দিন রাত এক করে জব সলু’উশোনে পড়ছি সেগুলোকে বুকে নিয়ে খুব কাঁদছি। শুধু পুরুষ বলে আজ আমি অবহেলিত।

আ’মার যুবক বয়সের সমস্যাটা কেউ বুঝে না। সবাই শুধু আমাকে বলে চাকরি চাই, চাকরি। মনে মনে খুব মিস করছি ই’সলামি সমাজটাকে। আজ যদি ইস’লামি সমাজ থাকতো তাহলে আমাকে এমন যুবক বয়’সের সমস্যায় পড়তে হতো না।এরপরও শুনতে হয় আমাদের সমাজটা পুরুষ শাষিত আর এই সমাজে নারীরা নির্যা/*তিত।

Full Video