গুলশানে গভীর রাতে বার-কর্মীদের মারধরের অভিযোগ পরীমনির বিরুদ্ধে

চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে গুলশানের একটি ক্লাবে ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, তিনি নাকি বার-কর্মীদের মারধরও করেছেন।
গত ৭ জুন গভীর রাতে গুলশানের ১৩৭ নম্বর রোডে অল কমিউনিটি ক্লাব লিমিটেডে (এসিসিএল) এ ঘটনা ঘটে। তবে ক্লাবে ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নায়িকা।গুলশান থানা পুলিশ জানিয়েছে, গত ৭ জুন গভীর রাতের এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় জিডি বা মামলা হয়নি। তবে পুলিশ নতুন করে ওই ঘটনা তদন্তে ক্লাব পরিদর্শনে যাবে।

অভিযোগের বিষয়ে পরীমনি গণমাধ্যমকে বলেন, এটি ফালতু অভিযোগ। এতদিন পর কেন এই অভিযোগ?
গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, গত ৭ জুন গভীর রাতে ৯৯৯ এ কল পেয়ে গুলশান থানা পুলিশের একটি টিম অল কমিউনিটি ক্লাবে যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে পরীমনি ক্লাবে গ্লাস ভাংচুর করেছেন। পরে আর এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ না করায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, বোট ক্লাবের ঘটনার দুই দিন আগে ৭ জুন গভীর রাতে চিত্রনায়িকা পরীমনি গুলশানের ১৩৭ নম্বর রোডে অল কমিউনিটি ক্লাব লিমিটেডে ভাংচুর করেন। এ সময় ওই ক্লাবে থাকা বেশ কয়েকজন বার কর্মীকে মারধরও করেন বলে অভিযোগ এই নায়িকার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে পুলিশের গুলশান বিভাগে উপকমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী যুগান্তরকে বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে ফোন পেয়ে পুলিশ অল কমিউনিটি ক্লাবে গিয়েছিল। পুলিশ সেখানে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে পুলিশ থানায় এসে নিয়ম অনুযায়ী ঘটনার বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।

গত ৯ জুন মধ্যরাতে সাভারে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঘটনার চার দিন পর রোববার রাত ৮টার দিকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এবং রাত ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনা প্রকাশ করেন নায়িকা পরীমনি। সোমবার সকালে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন তিনি। ওই দিনই প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে মাদক ও ইয়াবা জব্দ করা হয়।

Full Video